আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা মানুষের বিভিন্ন অসুখের সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমান সময়ে অন্যান্য রোগের থেকে টনসিল রোগ অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। টনসিল রোগ অনেকেই গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের শরীরে টনসিলের দেখা দিলে কি ওষুধ খেলে ভাল হবে এ তথ্যগুলো অনেকেই জানে না।
কিছু সময়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে অনেকে অনলাইনে রোগের ওষুধ এর নাম খুঁজে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টনসিল সাধারণত গলার দুপাশে দুটো ছোট গোটা দেখা যায়। এবং গলা ব্যথা সহ, জর ঠান্ডা, মাথা ব্যথা এগুলা রোগের সম্মুখীন হতে হয়। টনসিল হলে আপনি কিছু ঔষুধ সেবন করলেই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার টনসিল রোগ ভালো হয়ে যাবে।
টনসিল এর ঔষধ
আপনার শরীরে টনসিলের সমস্যা দেখা দিলে অতি দ্রুত আপনাকে ওষুধ সেবন করতে হবে। কারণ বেশি দিন পর্যন্ত টনসিল থাকলে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যায়। তখন টনসিলের সমস্যা দূর করতে অপারেশন করতে হয়। আপনি প্রথম শুরুতেই অল্প কিছু ওষুধ খেলে আপনার টনসিলের সমস্যা ভালো হয়ে যাবে। আপনাদের সুবিধার্থে কয়েকটি টনসিলের ঔষধ উল্লেখ করেছি।
- এইচ এক্স আর ট্যাবলেট।
- ডেক্সিলেন্ড ৩০ ক্যাপসুল।
- রফিউক্লাব ২৫০ট্যাবলেট।
- ডেসলর ট্যালেট।
- বায়োডিন মাউথ ওয়াশ।
- এমোক্সিসিলিন ট্যাবলেট।
- সিটিরিজেন ট্যাবলেট।
টনসিলের এন্টিবায়োটিক ঔষধ
অনেকে এই টনসিল এর দ্রুত কার্যকারিতা হওয়ার জন্য এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো ব্যবহার করে। কারণ আপনি এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার রোগ নিরাময় হয়ে যাবে। বিভিন্ন ধরনের বাজারে এন্টিবায়োটিক ঔষুধ পাওয়া যায়। বাংলাদেশে অনেকগুলো ঔষুধ কোম্পানি রয়েছে। কার্যকারিতা অনুযায়ী এগুলো এন্টিবায়োটিক ঔষুধ ব্যবহার করতে পারবেন।
- ডেক্সিলেন্ড ৩০ ক্যাপসুল।
- রফিউক্লাভ ২৫০ ট্যাবলেট।
- বায়োডিন মাউথ ওয়াস (প্রতিটি সিরাপ ১০০ মিলি)
- মোক্সাসিল ক্যাপসুল।
- ই ফিক্স ১০০ এম জি ট্যাবলেট
বাচ্চাদের টনসিলের ঔষধ
বিশেষ করে বাচ্চাদের টনসিলের সমস্যা গুলো বেশি হয়। কারণ সারাদিন পানি এবং শীতের মধ্যে খালি গলায় ঘোরাফেরা করলে টনসিলের সমস্যা গুলো দেখা দেয়। বাচ্চাদের জন্য আলাদাভাবে টনসিলের ঔষধ নির্ধারণ করা আছে। আপনি বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়াতে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধগুলো খাওয়াতে হবে।
অনেকেই বাচ্চাদের টনসিলের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ঔষুধের নাম খুঁজে থাকে। নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাদের টনসিল হলে এই ওষুধগুলো খাওয়াবেন। অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এমোক্সিসিলিন ৫০ এমজি ও পভিডন মাউথ ওয়াশ গরম পানির সাথে দিনে দুই-তিনবার গড়গড়ে কুলি করলে বাচ্চাদের টনসিলের সমস্যা গুলো সমাধান হয়।
টনসিলের ট্যাবলেট এর নাম
অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অর্থাৎ নাক কান এবং গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে টনসিলের ওষুধ সেবন করা উচিত। তবে আপনার টনসিলের অসুখ যদি সামান্য পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে ঘরোয়া কিছু উপায়ে এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। গরম পানির সাথে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে গড়গড়া সহ কুলি করলে ব্যথা অনেকটাই কমে যায়।
কিন্তু টনসিলের ব্যথা যদি মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে থাকে তাহলে সময় নষ্ট না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আপনার শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে ডাক্তার আপনাকে ওষুধ সেবনের পরামর্শ প্রদান করবেন।
টনসিল একটি মারাত্মক রকমের ভয়াবহ রোগ। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে এটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এমনও হতে পারে অপারেশনের মাধ্যমে আপনার টনসিল কেটে ফেলা হতে পারে। তাই অবশ্যই জরুরিভাবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করবেন।
আরও দেখু*নঃ
আমি মো সাগর, ইনফো গুরু ওয়েবসাইট এর একজন লেখক। এই সাইটে আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করে থাকি। আমি সর্বদা এই সাইটে তথ্যবহুল ও সঠিক ইনফো প্রদান করার চেষ্টা করি। আশা করি এই সাইটের লেখা গুলো আপনাদের ভাল লাগবে। ধন্যবাদ।