ডক্সিক্যাপ মূলত একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধ। এই ঔষধ শরীরের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমন করতে কাজ করে। একটি ঔষধ শরীরের পক্ষে অনেক ধরনের এন্টিবায়োটিক এর কাজ করে। এটি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন সেবন করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে। এন্টিবায়োটিক মূলত কোর্স মিল করে খেতে হয়।
বিশেষ করে গলার প্রদহ জনিত কারণে ডাক্তারগন ডক্সিক্যাপ ওষুধ সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও টনসিল ফুলে যাওয়া ও গলা ব্যথা সহ আরো বেশ কয়েকটি রোগের কারণে এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। সর্বোপরি doxicap ঔষধটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহন করলে কাঙ্ক্ষিত সমস্যা দূর করা সম্ভব হয়।
doxicap এর কাজ কি
একটি এন্টিবায়োটিক ঔষধের শরীরের অনেকগুলো কাজ করে। এই ডক্সিক্যাপ ওষুধ সেবন করলে মূত্রনালী, চোখ, ব্রণ, ঠান্ডা জনিত রোগ, গলা ব্যথা, কলেরা, রিকেটসিয়াল পক্স, ফোঁড়া, গনোরিয়া এবং বিভিন্ন ব্যাকটোরিয়া রোগের উপকারিতা পাওয়া যায়।
এই ঔষুধের দাম কম থাকার কারণে খুব সহজেই যে কোন লোক কিনতে পারে। আপনার শরীরের রোগ সম্পূর্ণভাবে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আপনি ডক্সিক্যাপ এন্টিবায়োটিক ওষুধ সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন। আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
doxicap কেন খায়
সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা জনিত রোগের জন্য ডক্সিক্যাপ ঔষুধ এর বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি মূলত মানুষের শরীরে কোন রোগ দেখা দিলে ঔষুধ সেবন করে। কারণ এন্টিবায়োটিক ওষুধ ছাড়া প্রায় রোগ নিরাময় হয় না। আপনি সঠিকভাবে রোগ ভালো করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে হবে। আপনার যদি গলা ব্যথা থেকে শুরু করে দাঁত ব্যথা, ঠান্ডা, ভেক্টরের জনিত কোন রোগ হলে আপনি এই ডক্সিক্যাপ ঔষধ সেবন করবেন।
ডক্সিক্যাপ এর দাম
আগের তুলনায় বর্তমান প্রত্যেকটা ঔষুধের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। বর্তমান ঠান্ডা গলা ব্যাথার জন্য সবচেয়ে পরিচিত ঔষধ হলো doxicap. অনেকেই এই ঔষধ কেনার আগে সঠিক দাম জানার চেষ্টা করে। কারণ কিছু ডাক্তারের দোকান আছে ঔষুধের দাম বেশি বিক্রি করে থাকে। সঠিক দাম না জানার কারণে আমাদের ঔষধ কিনতে গিয়ে প্রতারিত হতে হচ্ছে। ডক্সিক্যাপ ঔষুধ দুইটি ধরনের হয়। 100 mg এবং 50 mg ওষুধের দাম কম বেশি হিসেবে বিক্রি করে থাকে।
- ডক্সিক্যাপ ১০০ এম.জি প্রতি পিস ঔষধ এর দাম ২ টাকা ২০ পয়সা।
- ডক্সিক্যাপ ৫০ এম.জি প্রতি পিস ঔষধের দাম ১ টাকা ৪২ পয়সা।
ডক্সিক্যাপ খাওয়ার নিয়ম
প্রত্যেকটা ঔষধ সঠিক নিয়মে খেতে হবে। কারণ উল্টা পাল্টা ঔষধ সেবন করলে মৃ*ত্যুর ঝুঁকি হতে পারে। বিশেষ করে যারা ডক্সিক্যাপ খাওয়ার নিয়ম খুঁজতেছিলেন। ঠান্ডার জন্য তোর এবং বিভিন্ন শরীরের রোগ নিরাময় করতে ডক্সিক্যাপ অনেক উপকারী।
কিন্তু এজন্য আপনাকে সঠিক নিয়মে ডক্সিক্যাপ খেতে হবে। ডক্সিক্যাপ সাধারণত দিনে ২ বার খাওয়া যায়। প্রতিদিন সকাল এবং রাতে খাওয়ার পর এই ড্রক্সিক্যাপ খেতে হবে। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। এজন্য অবশ্যই ডক্সিক্যাপ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
ডক্সিক্যাপ এর উপকারিতা
সাধারণত উপকারের জন্যই রোগীরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকে। ডক্সিক্যাপ হচ্ছে ডক্সিসাইক্লিন টেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের একটি বিস্তৃত বর্ণালীর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়ােটিক ঔষধ। এটি গ্রাম পজেটিভ, গ্রাম নেগেটিভ, স্পাইরােচেট, মাইকোপ্লাজমা, রিকেটসিয়া ও মাইক্রোব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর।
গণােরিয়া ও সিফিলিস এর চিকিৎসায় পেনিসিলিন এর বিকল্প হিসাবেও এটি ব্যবহৃত হয়। ডক্সিসাইক্লিন ক্রিয়ার মূল ধরণ হলাে এটি ব্যাকটেরিয়ার কোষের ভিতরে প্রােটিন সিনথেসিস বন্ধ করে দেয়। যার কারণে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন অসুখ থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।
শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে অনেকেই ডক্সিক্যাপ সেবন করে। যেহেতু Doxicap ওষুধটি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করে থাকে। তাই শরীরের বর্তমান অবস্থা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিয়ে ওষুধটি গ্রহণ করুন। অন্যথায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধটি গ্রহণ করবেন না।
আমি মো সাগর, ইনফো গুরু ওয়েবসাইট এর একজন লেখক। এই সাইটে আমি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করে থাকি। আমি সর্বদা এই সাইটে তথ্যবহুল ও সঠিক ইনফো প্রদান করার চেষ্টা করি। আশা করি এই সাইটের লেখা গুলো আপনাদের ভাল লাগবে। ধন্যবাদ।