প্রসাব ক্লিয়ার করার ঔষধের নাম (সিরাপ সহ)

একজন পুরুষের ৫০ বছর পার হলেই শতকরা ৬০ জন মানুষের প্রসাব ক্লিয়ার না হওয়ার মত সমস্যাটি লক্ষ্য করা যায়। তবে সাধারণত প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়াকে বুঝায় ঘনঘন প্রসাব ত্যাগ করা। ঘন ঘন দিনের বেলায় অথবা বিশেষ করে রাতের বেলায় ঘুমিয়ে যাওয়ার পর বারবার প্রসাব করা। আবার প্রসাবের বেগ অনেক কিন্তু প্রস্রাব শুরু হতে দেরি হচ্ছে।

আবার প্রসাব শুরু হওয়ার পরেই মাঝখানে থেমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা যদি লক্ষণীয় হয় তাহলেই প্রসাব ক্লিয়ার না হওয়াকে বুঝায়। অতএব আপনার যদি এই প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যা থেকে থাকে। এবং আপনার প্রস্রাব ক্লিয়ার হচ্ছে না। এক্ষেত্রে প্রস্রাব ক্লিয়ার করার জন্য বিভিন্ন ঔষধ গ্রহণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে আজকের এই আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারবেন প্রসাব ক্লিয়ার করার ঔষধ সম্পর্কে।

প্রসাব ক্লিয়ার করার ঔষধের নাম

এছাড়াও প্রস্রাব শুরু করার মাঝখানে প্রসাব থেমে যাওয়া। এবং পরবর্তীতে আসার সময় মনে হচ্ছে সম্পূর্ণ প্রস্রাব হয়নি। এক্ষেত্রে এই সমস্যাটিকেই আমরা প্রস্রাব ক্লিয়ার না হওয়াকে বলতে পারি। এক্ষেত্রে এরকম একজন রোগী ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ খুব সহজ নিরাময় করা সম্ভব হয়।

তবে জেনে রাখু*ন সকল রোগ ওষুধের দ্বারা নিরাময় করা সম্ভব হয় না। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে নিরাময় করার চেষ্টা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে আপনার প্রস্রাব ক্লিয়ার করার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে বিভিন্ন ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। অতি দ্রুত প্রস্রাব ক্লিয়ার করতে চাচ্ছেন তারা এই পোস্ট শেষ পর্যন্ত দেখু*ন।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়টি ট্যাবলেটের নাম উল্লেখ করা হলোঃ

  • আলফা-লিপোইক অ্যাসিড
  • ইউরিকোমেট
  • এলোউরাইক অ্যাসিড
  • ফেবুক্সোস্টেট

ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম

আপনার প্রস্রাব অথবা ইউরিন সম্পূর্ণ ক্লিয়ার করার ক্ষেত্রে ডাক্তারকে অবশ্যই নিখুঁত সমস্যাটি সম্পর্কে জানাতে হবে। তাহলেই ডাক্তার প্রকৃত সমস্যাটি নির্ণয় করে বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করা পরামর্শ দিতে পারবেন। তবে ইউরিন ক্লিয়ার না হওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানসিক দুশ্চিন্তা, কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জনিত ঔষধ।

এছাড়াও অতিরিক্ত চা পান করা, কোলড্রিংকস হল হট ড্রিংকস এবং পানি পান করার ফলে এই সমস্যাটির সূত্রপাত অনেকের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। এছাড়াও কিডনির কারণে, বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের কারণে  ইউরিন বা প্রস্রাব কিরিয়ার হয় না। এক্ষেত্রে যেসব ওষুধগুলো আপনি গ্রহণ করতে পারেন। সেই ওষুধগুলো হচ্ছেঃ

  • প্রোবেনসিড
  • সুলোসুফেনাজোল
  • আইবুপ্রোফেন
  • ইউরিকোমেট
  • ন্যাপ্রোক্সেন

উপরে উল্লেখিত ওষুধগুলো অবশ্যই গ্রহণ করার পূর্বে আপনার স্বার্থ পরীক্ষা করুন এবং সঠিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন। তবে প্রস্রাবের পরীক্ষার মাধ্যমে একমাত্র আপনার রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে। তাই উপরে উল্লেখিত ঔষুধগুলো গ্রহণ করার পূর্বে ভালোভাবে পরীক্ষা করুন আর ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

প্রসাব ক্লিয়ার করার সিরাপ

যদিও প্রসাব ক্লিয়ার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বেশ কার্যকরী তবুও অনেকেই সিরাপ  খুজে থাকেন। কারণ ঔষধের তুলনায় সিরাপ বেশ তাড়াতাড়ি কাজ করে থাকে। তবে বাংলাদেশের বাজারে প্রসাব ক্লিয়ার এর সিরাপ খুব কম পাওয়া যায়। তবুও এখানে বেশ কয়েকটি সিরাপের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

  • URITAL Sugar Free Orange Flavour Syrup
  • Himalaya Renalka Syrup
  • Ayurvedic Syrup

প্রসাব ক্লিয়ার করার হোমিও ঔষধ

আপনার প্রস্রাব ক্লিয়ার করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রকম এলোপ্যাথি ঔষধের পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য হোমিও ঔষধ পাওয়া যায়। তবে কি কি হোমিও ঔষধ গ্রহণ করার দ্বারা প্রস্তাব ক্লিয়ার করা যায় এখানে বিস্তারিত উল্লেখ করেছি।

তবে কিভাবে ওষুধ খাবেন এবং কখন খাবেন তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে হোমিও ঔষধ গ্রহণ করার কিছু নিয়ম রয়েছে। তাই এখান থেকে শুধু মাত্র হোমিও ঔষধের নাম জেনে নিন। আর ঔষধ গ্রহণ করার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ওষুধগুলো হচ্ছেঃ

  • বেরিলোস
  • ক্যালি কার্বোনিকা
  • ন্যাট্রাম সালফুরিকাম

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অবশ্যই উপরে উল্লেখিত ঔষধ গুলো কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া একাকী গ্রহণ করবেন না। উপযুক্ত ফলাফল পেতে অবশ্যই একজন হোমিও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ গ্রহণ করুন।

প্রসাব ইনফেকশনের ঔষধ

আমাদের শরীরে থাকা অতিরিক্ত বর্জ্য ও অতিরিক্ত পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। যদি কারোর শরীরের অঙ্গের মূত্রতন্ত্রের কোনো অংশে জীবাণুর সংক্ৰমণ হয় তাহলে সেটিকে ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবের সংক্ৰমণ বলা হয়। আর ডাক্তারি ভাষায় একে ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’ বা ‘ইউটিআই’ বলা হয়। এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রস্রাবে ইনফেকশনের ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

উপসর্গ গুলির মধ্যে প্রস্রাবের সময়ে ব্যথা অথবা জ্বালাপোড়া হওয়া, স্বাভাবিকের চেয়ে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। এবং রাতে বারবার প্রস্রাবের বেগ আসা, অস্বাভাবিক গন্ধযুক্ত অথবা ঘোলাটে প্রস্রাব হওয়া, তলপেটে ব্যথা হওয়া আরো ইত্যাদি সমস্যা। এ সমস্যাগুলো ইনফেকশন নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে হতে পারে। তবে প্রস্রাবের ইনফেশন নিরাময় করতে যেসব ওষুধ গ্রহণ করা হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

  • সুলফামেথক্সাজোল
  • সেফুরোক্সিম
  • ট্রাইমেথোপ্রিম
  • ক্লাভুল্যানিক অ্যাসিড

শেষ কথা

বর্তমান সময়ে অনেকের প্রস্তাবের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তবে নিরাময় করার জন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ইতিমধ্যে হয়তো আপনি এখান থেকে প্রসাব ক্লিয়ার করার ঔষধ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধগুলো গ্রহণ করবেন। মনে রাখা উচিত যে ওষুধ সেবনের পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া উপায়েও এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top