বিজয় দিবস কবে ২০২৪

দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেন। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীরা তারা বাংলাদেশের মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছিল। এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের যুদ্ধের ঘোষণা করা হয়। বিশেষ একটি দিনে বাংলাদেশ জয়লাভের দেখা পান। এই যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ তাদের জীবনকে উৎসর্গ করে দেন।

প্রতি বছরের নির্দিষ্ট একটি দিনে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিনকে স্ম*রণীয় রাখার জন্য বিজয় দিবস উদযাপন করেন। এই মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশের সরকারি সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। সবশেষে যুদ্ধের কালো আবাস কাটিয়ে বাঙালি নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেন। বাংলাদেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধারা রয়েছেন তারা এ দেশের জন্য লড়েছেন।

বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের এসব প্রশ্নের সঠিক ব্যাখ্যা এবং উত্তর জানার দরকার হয়। কারণ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ঘটনা এবং বক্তব্য বাক্যগুলো পড়তে পারলে তারা পুরষ্কৃত অর্জন করেন। এজন্য অনেকেই মহান বিজয় দিবস কবে এ তথ্যগুলো অনলাইনে জানার চেষ্টা করে। আপনি আমাদের এই পোস্টটি পড়লে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন।

বিজয় দিবস কবে

এই দিনগুলো মনে রাখা একটু কঠিন হয়ে যায়। হঠাৎ করে এই প্রশ্নগুলো সামনে পড়লে কত তারিখে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়  মনে থাকে না। অনলাইনে তখন আপনারা সার্চ করে সঠিক তথ্য খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। ২৫ শে মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা বাঙ্গালীদের উপর নির্মম হ*ত্যা চালায়।

এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বে যুদ্ধের ঘোষণা করেন। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেন। ১৯৭১ সাল ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি যুদ্ধে জয়লাভ করার ঘোষণা পান। এরপর থেকেই প্রতিবছর রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

কততম বিজয় দিবস ২০২৪

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর যুদ্ধে জয়লাভ করার পর প্রতি বছরে রাষ্ট্রীয়ভাবে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। অনেকেরই প্রশ্ন থাকে এ বছর কততম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হবে। এই তথ্যগুলো অনেকেই হিসাব করে বের করতে পারেনা। এবং কি আমাদের বিভিন্ন পরীক্ষায় এই প্রশ্নগুলোর সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমান এই বছর ২০২৪ সালে ৫৪ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হবে।

১৬ ‍ডিসেম্বর কি দিবস

অনেকে ১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় এই তথ্য জানেনা। বাঙালি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করার পর এই দিনে বিজয়ী ঘোষণা পান। পাকিস্তানি বাহিনীরা তারা যুদ্ধে হার মেনে নেন। এরপর থেকে বাঙালি  স্বাধীনতা লাভ করে। মূলত এ যুদ্ধে জয়লাভ করার কেন্দ্র করে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। অর্থাৎ প্রতি বছরের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালন করেন।

বিজয় দিবস সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য

বাংলাদেশে বিজয় দিবস উদযাপনের দিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাক্যগুলো বলার প্রয়োজন পড়ে। স্কুল কলেজে প্রতিযোগিতামূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। শিক্ষার্থীরা কি বাক্য বলবে ধারণা থাকে না। তখন অনেকেই অনলাইনের মাধ্যমে পাঁচটি বাক্য খোঁজাখুঁজি করে থাকেন। আমরা এই পোস্টে বিজয় দিবস সম্পর্কে বিখ্যাত পাঁচটি বাক্য উল্লেখ করেছি।

  1. মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের স্ম*রণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
  2. ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি পাক হানাদার বাহিনীরা আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
  3. ১৬ ডিসেম্বরে বাঙালিরা তাদের বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন এবং তাদের ভবিষ্যতের উজ্জ্বল সম্ভাবনা উদযাপন করে।
  4. ১৬ ডিসেম্বরর দিনে বাঙালিরা বিশ্বকে দেখায় যে তারা একটি শক্তিশালী এবং স্বাধীন জাতি যা তার নিজের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে সক্ষম।
  5. এই ১৬ ডিসেম্বরর দিনটিতে, মানুষ জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভায় অংশ নেয়।

শেষ কথা

আপনারা যারা মহান বিজয় দিবস সম্পর্কে বাক্য অথবা প্রতিবছর কবে পালন করা হয় এ তথ্য খুঁজতেছিলেন। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন সঠিক তথ্য অনলাইনে খুঁজে পাওয়া যায় না। ইতিমধ্যে আমরা এই পোস্টে মহান বিজয় দিবস সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আলোচনা করেছি। আশা করি, আপনি আমাদের সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে বিজয় দিবস কবে সে তথ্য জানতে পেরেছেন। প্রতিনিয়ত আমরা এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করি। আপনার যদি পোস্টটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই ওয়েবসাইটটি শেয়ার করে দিবেন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top