রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম

রানের চিপায় চুলকানি একটি সেনসিটিভ বিষয়। রানের চিপায় চুলকানি হলে তা অতি দ্রুত সমগ্র শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই রানের চিপায় চুলকানির উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্রিম বা মলম ব্যবহার করতে হবে। যে কোনো বয়সের ব্যক্তির রানের চিপায় চুলকানি হতে পারে। এক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। চিকিৎসক চুলকানির বিভিন্ন উপসর্গ দেখে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে।

শরীরের গুরুত্বপূর্ণ পার্ট রানের চিপায় চুলকানি হলে অনেক সময় লজ্জাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাজারে রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম বা মলমের অভাব নেই। তবে সস্তা মূল্যের ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এ সকল অল্প মূল্যের ক্রিমের মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদান মিশ্রিত থাকে। যার ফলে এ সকল ক্রিম ব্যবহার করলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

রানের চিপায় চুলকানি

চুলকানি একটি চর্মরোগ। রানের চিপার অংশ নরম হওয়ায় অতি দ্রুত চুলকানির মতো চর্মরোগ দেখা দেয়। রানের চিপায় চুলকানি হলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মূলত রানের চিপায় অতিরিক্ত ঘাম হওয়া চুলকানির প্রধান কারণ।

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম

বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির চুলকানির ওষুধ পাওয়া যায়। অল্প টাকায় যে কোন ফার্মেসীর দোকান থেকে রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম কিনতে পারবেন। তবে সব সময় বিশ্বাস ও নির্ভর যোগ্য কোম্পানির ঔষধ কিনতে হবে এবং ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

  • Dharma 50 Cream
  • Sedno 50 cream
  • Pevisone cream
  • Fungin – B Cream
  • Antifungal cream
  • Fungidal – HC Cream

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিমের দাম কত

অল্প টাকা খরচ করার বিনিময়ে রানের চিপায় চুলকানি দূর করা যায়। বাজারের যে কোনো ফার্মেসীর দোকান থেকে স্বল্প মূল্যে রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম সংগ্রহ করতে পারবেন। বর্তমানে কোম্পানির উপর ভিত্তি করে রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিমের মূল্য ন্যূনতম প্রায় ৩০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ১৮০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম

চুলকানি দূর করার ক্রিম ও মলম ব্যবহার করার কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। নিয়ম কানুন না মেনে ক্রিম ব্যবহার করলে সঠিক কার্যকারিতা বা ফলাফল পাওয়া যায় না। রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে চুলকানি যুক্ত স্থানটি হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এছাড়া চিকিৎসকের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়

বাজারে বিভিন্ন ধরনের রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম বা মলম পাওয়া যায়। তবে চুলকানি দেখা দিলে প্রথমে ওষুধ প্রয়োগ না করে ঘরোয়া উপায়ে সারানোর চেষ্টা করা উচিত। চুলকানি শুরুর দিকে ঘরোয়া ট্রিটমেন্ট নিলে সহজে চুলকানি দূর করা যায়।

  • নারিকেল তেল: নিয়মিত রানের চিপায় চুলকানিতে নারিকেল তেল ব্যবহার করলে তা অতি দ্রুত নিরাময় হয়।
  • এলোভেরা জেল: রানের চিপায় চুলকানির স্থান হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে হবে। প্রথমবার অ্যালোভেরা জেল লাগালেই এর কার্যকারিতা বোঝা যায়।
  • শিম গাছের পাতা: শিম গাছের পাতা লবণ দিয়ে ভালো ভাবে ডলে চুলকানিতে লাগালে চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এতে অনেক যন্ত্রণার শিকার হতে হয়।
  • এছাড়া চুলকানি থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করতে বেজা কাপড় এড়িয়ে চলতে হবে। চুলকানির শুষ্ক রাখার চেষ্টা করতে হবে। রানের চিপায় ঘাম জমতে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

রানের চিপায় চুলকানির অনেক ক্রিম বা মলম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে তেমন উপকার পাওয়া যায় না। তাই রানের চিপায় চুলকানি দূর করার ক্রিম ব্যবহার করার পূর্বে একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া অনেক হকার সস্তা মূল্যের মলম বিক্রি করে। এগুলো ব্যবহারে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে তাই সতর্ক থাকতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top