ওমান ভিসার দাম কত ২০২৪
ওমান কাজ অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেতে হলে ভিসার প্রয়োজন। ওমান নাগরিকত্ব ছাড়া বৈধ ভাবে কেবলমাত্র ভিসার সাহায্যে যাওয়া যায়। ওমান ভিসার দাম পূর্বের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে অনেকেই ভ্রমণ, উচ্চ শিক্ষা, উন্নত চিকিৎসা সহ বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে ওমান ভিসার জন্য আবেদন করছে। বর্তমানে ওমান ভিসার চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি যার ফলে ভিসা তৈরীর খরচও বেড়েছে।
বর্তমানে সরকারি ভাবে ওমান ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। প্রতি বছর ওমান সরকার সরকারি তত্ত্বাবধানে অসংখ্য কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। মূলত বছরের শুরুর দিকে ওমান বিভিন্ন ভিসার সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে। ওমানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই সকল সার্কুলার সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়। ভিসার সার্কুলার অনুযায়ী ভিসা আবেদন করলে সহজে ভিসা পাওয়া যায়।
ওমান ভিসা পাওয়ার উপায়
আরব বিশ্বের অন্যতম সন্ত্রাসমুক্ত দেশ ওমান। দেশটি নিরাপদ হওয়ায় বাংলাদেশীদের মধ্যে ওমান যাওয়ার আগ্রহ অনেক বেশি হয়ে থাকে। ওমান সরকারি ও বেসরকারি ভাবে যাওয়া যায়। তবে সরকারি ভাবে ওমান যেতে খরচ তুলনামূলক অনেক কম হয়।
ওমান ভিসার দাম কত
ভিসার ক্যাটাগরির উপর ওমান ভিসার দাম নির্ভর করে। যেমন ওমান কাজের ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। অপর দিকে ভ্রমণ অথবা স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করতে খরচ তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। বর্তমানে বেকারত্বের হার কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার ওমান ভিসা তৈরির খরচ কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
ওমান ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম
‘ন্যাশনাল সেন্টার এন্ড ইনফরমেশন’ (এন সি এস আই) এর তথ্য মতে ওমানে বাংলাদেশীদের সংখ্যা আনুমানিক ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৮১ জন। যাদের বেশির ভাগই জীবিকার তাগিদে ওমান বসবাস করছে। ওমান কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা রয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি ভাবে অর্থাৎ এজেন্সি দ্বারা ওমান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে ন্যূনতম প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
ওমান স্টুডেন্ট ভিসার দাম
প্রতিনিয়ত স্কলারশিপ এর মাধ্যমে অসংখ্য স্টুডেন্ট ওমান পড়াশোনার জন্য যায়। আবার অনেক স্টুডেন্ট সম্পূর্ণ নিজের খরচে উচ্চ ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে ওমান যাওয়ার পরিকল্পনা করে। বর্তমানে ওমান স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করার খরচ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওমান স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি করতে বর্তমানে ন্যূনতম প্রায় ২ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়।
ওমান টুরিস্ট ভিসার দাম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত টুরিস্টদের মাধ্যমে ওমান অর্থনৈতিক ভাবে অনেক লাভবান হয়ে থাকে। টুরিস্ট ভিসার সাহায্যে ওমানের সকল পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণ করা যায়। বর্তমানে ওমান টুরিস্ট ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৩ লাখ অথবা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
ওমান যেতে কত টাকা লাগে
ভিসা এবং বিমানের ক্যাটাগরির উপর ওমান যাওয়ার খরচ নির্ভর করে। যেমন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ওমান যেতে সব থেকে বেশি টাকা খরচ হয়ে থাকে। আপনাদের ধারণা দেওয়ার সুবিধার্থে জানাচ্ছি, বর্তমানে ওমান যেতে ন্যূনতম প্রায় ৭ লাখ টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। তবে ওমান যেতে ন্যূনতম বাজেট ৯ লাখ টাকা রাখা উচিত।
ওমান যেতে কত সময় লাগে
বিমানের ক্যাটাগরি এবং বিরতির উপর নির্ভর করে ওমান যেতে কত সময় লাগবে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে ওমানের দূরত্ব প্রায় ৩,৫২৮ কিলোমিটার। সচরাচর ননস্টপ ফ্লাইটে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ন্যূনতম ৪ ঘন্টা ৫০ মিনিট সময় লাগে। তবে ওয়ান স্টপ অর্থাৎ এক বার বিরতি নিয়ে ওমান পৌছায় এমন ফ্লাইটে ওমান যেতে ন্যূনতম ১২ ঘন্টা ৫৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১ দিন ২৫ মিনিট সময় লাগে।
বর্তমানে ওমান সরকার দ্বারা অনুমোদিত বাংলাদেশী এজেন্সি গুলোর সিন্ডিকেটের কারণে ওমান ভিসার দাম পূর্বের তুলনায় ধাপে ধাপে অনেক গুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরকারি ভাবে ভিসার আবেদন করলে কম খরচে ভিসা পাওয়া যায়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অধিক চাহিদা থাকায় ভিসা পাওয়া তুলনামূলক কঠিন।